ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার গাইড

আপনি যদি একজন সফল ব্লগার হতে চান, তাহলে সবার আগে আপনাকে ব্লগিং এর বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। ট্রাফিক এর পিছনে শুরুতেই দৌড়ানো যাবে না। আপনার ব্লগসাইটকে কে ব্লগ নয় একটা ব্রান্ড ভাবতে হবে এবং আপনার শতভাগ এফোর্ট করতে হবে। তথ্যবহুল পোস্ট করা সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার অডিয়েন্স কে বেস্ট এবং সঠিক তথ্য দেয়ার। যা পরবর্তীতে ওই অডিয়েন্স আপনার ব্লগকে রেংকিং এ নিতে সহযোগীতা করবে।

আমি অনেক ব্লগার কে দেখেছি তারা মুখরোচক টাইটেল ব্যবহার করে আর্টকেল পাবলিশ করে। কিন্তু আর্টিকেলের টাইটেলের সাথে ভিতরে পোস্টের কোন মিল থাকে না। উদাহরণ, টাইটেলে লিখছে “৫ মিনিট কাজ করে বিকাশ এপ থেকে লুফে নিন ৫০০ টাকা” কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে তারা হয়তো বিকাশ এপ এর কোন ফিচার সম্পর্কে লিখেছে, যার সাথে আর্ণিং এর কোন সম্পর্ক নেই, অথবা গরুর রচনা লিখেছে। এমন কাজ কখনোই করবেন না, এতে ট্রাফিকদের মধ্যে ট্রাস্ট উঠে যাবে এবং পরবর্তীতে তারা আর কখনো আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে না এবং অন্য কাউকে রেফারও করবে না।

রেগুলারেটি মেইন্টেন করা সর্বদা রেগুলার বেসিস এ কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। কখনোই এক সাথে ২/৩ টা পোস্ট করে ৩/৪ দিনের বিরতি দিবেন না। ২ দিন বা ৩ দিন পরপর একটা করে কন্টেন্ট দিবেন। অর্থাৎ, ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। কন্টেন্ট এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে খুব সহজেই পোস্ট গুগলে ইন্ডেক্স হয়ে যাবে এবং গুগলে আপনার ব্লগ টি র‍্যাংক করা শুরু করবে।

পড়ুনঃ কম্পিউটার শিক্ষা

কমিউনিটি তৈরি করা প্রতিনিয়ত তথ্যবহুল ও ইউনিক কন্টেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে আপনাকে আপনার নিজের ব্লগিং কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। আপনি নিউজলেটারে সাবক্রিপশন, টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গুগল নিউজে এর মাধ্যমে একটা কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। এতে অডিয়েন্স এর সাথে আপনার সম্পর্ক মজবুত হবে এবং ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কয়েক গুন বেড়ে যাবে। কমেন্টের রিপ্লাই করা কমেন্ট এর রিপ্লাই করার করার মাধ্যমে খুব সহজেই অডিয়েন্স সাথে বেশ ভালো একটা বন্ডিং তৈরি করা যায়।

এছাড়াও কমেন্টের রিপ্লে করার মাধ্যমে আপনি অডিয়েন্স এর চাহিদা ও আপনার ব্লগ সম্পর্কে অডিয়েন্স এর মতামত জানতে পারবেন। তাই সবসময় অডিয়েন্স এর কমেন্টে রিপ্লে করবেন। কখনোই কোন কমেন্ট কে ইগ্নোর করবেন না, হোক সেটা পজেটিভ বা নেগেটিভ। ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আর্টিকেলের মধ্যে বড় বড় প্যারাগ্রাফ ব্যবহার না করে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করেবেন। সর্বোচ্চ ৩/৪ বাক্যের প্যারাগ্রাফ রাখবেন।

ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আর্টিকেলের লেন্থ বাড়িয়ে দেয় পাশাপাশি বাউন্স রেট কমিয়ে দেয়। প্যারাগ্রাফ এর পাশাপাশি ছোট ছোট বাক্যে আর্টিকেল লিখবেন। এতে আপনার আর্টিকেল এর রিডেবিলিটি বেড়ে যাবে এবং আর্টিকেল এসইও ফ্রেন্ডলী হবে।

শেষকথাঃ

ব্লগিং একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রসেস। আপনি কখনোই ব্লগিং এ এক দিনে সফলতা পাবেন না। এর জন্য আপনাকে ধৈর্যের সহিত প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যেতে হবে। হতাশ বা নিরাশ না হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সফলতা একবার দেখা দিলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে দেখতে হবে না।

আরো পড়ুনঃ কম্পিউটারের র‌্যাম সমস্যার সমাধান

কম্পিউটারের Ram এর সমস্যা সমাধান

Ram হলো কম্পিউটারের ছোট্ট একটা মেমোরি। তবে এই মেমোরির ব্যবহার পুরো কম্পিউটার জুড়েই। কম্পিউটারে যে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম রান করা হয়, সবকিছুতেই এই ছোট্ট মেমোরিটাই কাজ করে। এটা ছাড়া কম্পিউটার চলবে না।

র‌্যাম-এর মাধ্যমে যদি কখনো সমস্যা হয়, তবে পুরো কম্পিউটারটিই অচল হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই Ram -এর সমস্যার জন্যই অনেক বিপদে পড়তে হয়। তাই কম্পিউটারের Ram সমস্যা সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা।

অনেকেই আমাদের কাছে কম্পিউটার সমস্যায় বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। ভাই এই সমস্যার সমাধান কি? ওই সমস্যার সমাধান কি? এমন সমস্যা কেন হয়? সমাধানের উপায় কি? এই ধরনের নানা প্রশ্ন আসে আমাদের কাছে। র‌্যাম বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়েই আজকের আলোচনা।

কম্পিউটারের Ram এর সমস্যায় যে বিষয়গুলো ঘটে

১ | কম্পিউটারের মনিটরে আলো না আসা। এই সমস্যাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই Ram -এর প্রবলেমের জন্য হয়। অনেক সময় অন্যান্য যন্ত্রাংশ বা মনিটরের প্রবলেমের জন্যই এমন হয়ে থাকে।

২ | কম্পিউটার রানিং থাকা অবস্থায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। অথবা কম্পিউটারটি হঠাৎ করে স্লো হয়ে যাওয়া।

৩ | প্রসেসরের ফ্যান না ঘুরা। অনেক সময় কম্পিউটার ওপেন করতে গিয়ে ক্যাচিংয়ের পাওয়ার বাটনে আলো না আসা।

৪ | কম্পিউটারে কোনো সফটওয়্যার আইকনে বারবার ক্লিক করার পরও সফটওয়্যারটি ওপেন না হওয়া।

৫ | কাজের মাধ্যমে কম্পিউটার হ্যাং হওয়া।

এই সমস্যা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই র‌্যাম-এর জন্য হয়।

Ram-এর সমস্যা সমাধানে যা করতে হবে
উপরোক্ত সমস্যা গুলো যদি আপনার কম্পিউটারে দেখতে পান তবে CPU এর ক্যাচিংটা খুলে নিন। তারপর আলতো করে সাবধানতার সাথে মাদারবোর্ড থেকে Ram গুলো খুলে নিন। কিছুতেই যেনো Ram বা মাদারবোর্ডের কোনো পার্স হাতের ঘষায় খুলে না যায়।

র‌্যামগুলো খোলার পর পরিস্কার একটি নেকড়া নিন। তারপর Ram -এর নিচে থাকা তামার অংশটা নেকড়া দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিস্কার করুন। ভুলেও এখানে পানি ব্যবহার করবেন না।

Ram গুলো পরিস্কার করে আবার আগের মতো মাদারবোর্ডে লাগিয়ে নিন। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কম্পিউটার ওপেন করুন। আশাকরি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছেন!

প্রিয় পাঠক, আশাকরি কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ক এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা নিজস্ব মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

উস্তাদ নোমান আলী খানের বাণী

দুনিয়াতে উন্নতি চাইলে দক্ষতা অর্জন করুন। দুনিয়াতে হালাল কামাইয়ের জন্য কাজ শেখা, দক্ষতা অর্জন করা- এগুলোও দ্বীনি বিষয়। যেই ইউসুফ (আঃ) এর নিজের জামাকাপড় পর্যন্ত ছিল না, একজন দাস হিসেবে বিক্রিত হন, তিনিই কিনা দুনিয়াবী অর্থনীতিতে দক্ষতার জন্য, সততা দিয়ে কাজ করে সমস্ত মিশর রাষ্ট্রের সকল মানুষের উপকার করলেন, একটি রাষ্ট্রকে পতনের হাত থেকে বাঁচিয়ে সেসময়কার সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রের জায়গায় নিয়ে গেলেন। ~নোমান আলী খান

আরো পড়ুন

ছেলে মেয়েদের প্রতি নজর রাখুন

আপনার আদরের সন্তান প্রতিদিন কোথায় যায়? কার সাথে মিশে? বাইরে কিভাবে সময় কাটায়? এসব ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নিন এবং মনিটরিং করুন। বিশেষ করে, আপনার কন্যা সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে কিছুটা স্ট্রিক্ট হোন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের উদাসীনতা, নৈতিক মূল্যবোধের চর্চার অভাব এবং সন্তানকে অতিরিক্ত প্রশ্রয়—অধিকাংশে তাদের উচ্ছৃঙ্খল ও অবাধ্য করে তোলে।

আপনার সামান্য অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত, এমনকি বিপন্ন হতে পারে তাদের সুন্দর জীবন। উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীদের ক্ষেত্রে— সঙ্গদোষ একটি বড় সমস্যা। কু-সঙ্গে বিপথগামীদের সাথে মিশে, আপনার প্রিয় সন্তানটিও হয়ে যেতে পারে মাদকাসক্ত কিংবা জড়িয়ে পড়তে পারে কোন কিশোর গ্যাং এর সাথে অথবা সেক্সুয়ালি এবিউজ্ড হতে পারে আপনার আদরের মেয়েটিও।

তাই আদর, সোহাগ আর আহ্লাদের পাশাপাশি সন্তানকে যথাযথ শাসন করুন এবং নৈতিকতার শিক্ষা দিন। আর তা না হলে, পরম মমতায় আগলে রাখা আপনার আদরের সন্তানটিও, সঙ্গদোষে হয়ে উঠতে পারে অন্ধকার পথের যাত্রী।

  • Mizanur Rahman Azhari

কম্পিউটার শিক্ষা। এবার নিজেকে রেডি করুন

কম্পিউটার হলো বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর একটি আবিস্কার। টেকনোলোজির এই যুগে কম্পিউটার নাম শুনেনি এমন লোক খোঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই কম্পিউটারের সাথে পরিচিত, কিন্তু এর ব্যবহার সবাই জানে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ কম্পিউটারে বেশ দুর্বল। এর কারণ হলো দরিদ্রতা ও আর্থিক অসচ্চলতা। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো কম্পিউটার দিয়ে কি করা হয়, এটাও অনেকে জানে না।…

তাই এমন কিছু ওয়েবসাইট শেয়ার করবো, যা থেকে কম্পিউটার সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন।

১, আইটি নির্মাণ

২, ইকরা বাড়ি

earthhershop

৩, টেক টিউন

৫, আইটি বাড়ি

৬, পিসি বিল্ডার

আশাকরি এই সাইটগুলো থেকে উপকার পাবেন সবাই

আরো পড়ুুন

কবুতর পালন করে সাবলম্বী হওয়ার দারুণ একটি বিজনেস আইডিয়া

কবুতর একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় প্রাণী। বাংলাদেশের জলবায়ূ কবুতর পালনের দারুণ উপযোগি। কবুতর পালন করে ইতোমধ্যে অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে। আমাদের দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে কবুতর পালন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। কবুতরকে খুব সহজেই পোষ মানানো যায়। গ্রাম-গঞ্জ শহর এলাকায় এখন অনেকেই কবুতর পালন করে। কবুতর পালনে তেমন কোনো কষ্ট বা খরচ নেই। তাই আস্তে আস্তে […]

কবুতর পালন করে সাবলম্বী হওয়ার দারুণ একটি বিজনেস আইডিয়া